আযানের দোয়া ফজরের আজান এর উত্তর
আজান আল্লাহ তায়ালার এক সু মধুর বাণী মক্কার আজান শুনলে মধুর লাগে একবার শুনলে
বা বার শুনতে মনে চায়, যেমন ফজরের আজান,
শুনে আমরা ঘুম থেকে উঠি শুরু হয় আমাদের দিন সারাদিন আমরা কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকি,
তাই আমরা আযানের সময় আমাদের প্রত্যেকেরই
আযানের জবাব দেওয়া জরুরি তাই আসুন, আমরা সকলেই আজানের জবাব দেওয়া শিখি
জবাব দেওয়ার শেষে আযানের দোয়া পড়তে হয়,
নিন্মে আযানের দোয়া এবং দুরুদ শরীফ গুলি দেওয়া হল।
আযানের ক্ষেত্রে পাঁচটি সুন্নাহ রয়েছে যা ইবনুল ক্বাইয়্যেম তাঁর “যাদ আল মা‘আদ” কিতাব -এ উল্লেখ করেছেন যেমনঃ
১। যে ব্যক্তি আযান শুনবে মুআযযিন যা বলে সে
তাই পুনরাবৃত্তি করবে শুধু حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ, حَيَّ عَلَى الْفَلاَحِ এর জবাবে বলবেঃ
لَا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ
অর্থঃ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন শক্তি এবং ক্ষমতা নেই।
এই সুন্নাহর উপকারিতা হচ্ছে এটি জান্নাতকে অপরিহার্য করে দেয় যা মুসলিম শরীফের বর্ণনা
উল্লেখ করা হয়েছে।
২। আযান শোনার পরে বলবেঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا
অর্থঃ ‘আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া
ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, তিনি একক,
তাঁর কোন শরীক নেই। এবং আমি আরও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাঁর বান্দা এবং প্রেরিত রাসূল। আমি আল্লাহকে
রব এবং হযত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসূল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন
হিসেবে নিয়ে সন্তুষ্ট আছি।
এই সুন্নাহর উপকারিতা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
৩ । অতঃপর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর সলাত এবং সালাম (দরূদ)
প্রেরণ করা।
পূর্ণ দরূদে ইবরাহীম পাঠ করুনঃ
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌٌ
৪। আযানের দু‘আ পাঠ করুনঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدَاً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحْمُودَاً الَّذِي وَعَدْتَهُ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান
ও নামাজের রব এবং যে সলাত কায়েম হবে
তার মালিক, হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে দান করুন ওয়াসীলাহ এবং
ফাদীলাহ যার ওয়াদা আপনি তাঁকে করেছন।
এই দু‘য়া পাঠ করার উপকারিতা হচ্ছে পুনরুত্থান
দিবসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তার জন্য সুপারিশ করবেন।
৫। অবশেষে নিজের জন্য দো’আ পাঠ করাঃ
বল, যেমন তারা (মুআযযিন) বলে, যখন তা সম্পন্ন করবে চাও (দো’আ কর) তোমাকে তা দেয়া হবে।
আল বুখারী হাদিস /৬১৩
এবং মুসিলিম হাদিস /৩৮৫।
মুসিলিম হাদিস /৩৮৬।
মুসিলিম হাদিস /৩৮৪।
আল বুখারী হাদিস /৩৩৭০।
আল বুখারী হাদিস /৬১৪।
আবু দাউদ হাদিস /৫২৪।
নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম,
ইকামতের জবাব আপনার আরবিতেই দিতে হবে,
ইকামত বাংলা উচ্চারণ লেখা আছে,
এবং আরবি উচ্চারণ লেখা আছে,
তবে উচ্চারণ কিন্তু আপনাকে আরবীতেই করতে হবে,
১। ইক্বামতের ক্ষেত্রে ইক্বামতকারী ব্যক্তি যা বলে তার পুনরাবৃত্তি করা, শুধু
حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ, حَيَّ عَلَى الْفَلاَحِ
এর জবাবে বলবেঃ
হাইয়া আলাস সলাহ,
হাইয়া আলাল ফালাহ,
যখন বলবে তখন আপনি বলবেন শুদু,
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ,
আরবি উচ্চারণ নিচে দেওয়া হল,
لَا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ
অর্থঃ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন শক্তি এবং ক্ষমতা নেই।
1 মন্তব্যসমূহ
আসসালামু আলাইকুম ।
উত্তরমুছুনএই তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য আমি উপকৃত । সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । আল্লাহ্ যেন আপনাকে আরো বেশী বেশী করে দ্বীনের খেদমত করার তৌফিক দান করেন । আমীন ।