নামাজ, নামাজ পড়ার নিয়ম যেমন, ফজরের নামাজ কয় রাকাত এশার নামাজ কয় রাকাত নামাজের নিয়ম কি কি
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমরা আলোচনা করব একজন মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করা থেকে শুরু করে একদম শেষপর্যন্ত,
প্রথমে অযু করা থেকে শুরু করে সবকিছু যেমন,
ফরজ নামাজ, কত রাকাত কি ভাবে পরবেন।
ওয়াজিব নামাজ, কত রাকাত কি ভাবে পরবেন।
সুন্নত নামাজ, কত রাকাত কি ভাবে পরবেন।
নফল নামাজ, কত রাকাত কি ভাবে পরবেন।
একদম ফজর থেকে শুরু করে এশার নামাজ পর্যন্ত সমস্ত নামাজ ও আমল কিভাবে করবেন,
নামাজ শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ আল্লাহ তা’আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি
করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ । কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আল্লাহ তা’আলা নামাজের হিসাব নিবেন। নামাজ না পড়া জাহান্নামে
যাওয়ার কারণ। তাইতো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইচ্ছাকৃত নামাজ
পরিত্যাগ কারী জাহান্নামী কারণ ইচ্ছাকৃত নামাজ পরিত্যাগ কারা কুফুরী।
নামাজ একটি ফরজ এবাদত, এই ফরজ এবাদত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সব তরিকায় আদায় করতে হবে। কিন্তু দুক্ষজনক হলো মুসলমানরা ইচ্ছাকৃতভাবে
আজকে নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ এবাদতকে ছেড়ে দিচ্ছে আর যারা নামাজ পড়ে তারাও
নিজেদের মন মত নামাজ আদায় করে থাকে। সহীহ তরিকা শিখার চেষ্টাও করে না ।
অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যারা সুন্দরভাবে
আদায় করে আল্লাহ তা’আলা তাকে পাঁচটি বিশেষ পুরুস্কার দান করে সম্মানিত করবেন।
(১) তার থেকে মৃত্যুর কষ্ট দূর করে দিবেন।
(২) কবরের শাস্তি থেকে তাকে মাফ করে দিবেন।
(৩) কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে ডান হাতে আমালনামা দান করবেন।
(৪) বিদ্যুাতের গতিতে ফুলসীরাত পার করবেন।
(৫) বিনা হিসাবে তাকে জান্নাত দান করবেন।
অতএব সহীহ তরিকায় নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা শিখে নেওযা জরুরী । রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আল্লাহ তা’আলা জিব্রাইল আলাইহিস সালাতুওয়াস সালাম এর মাধ্যমে
সহীহ তরিকার নামাজ পড়া শিখিয়েছেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও
হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাতুওয়াস সালাম এর দেখানো তরিকায়ই সব সময় নামাজ পড়তেন ।
কারণ এটিই ছিল আল্লাহ তা’আলার শিখানো তরিকা।হযরত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছেন ঠিক সেভাবেই
তারা নামাজ আদায় করেছেন। কারণ এটাই নামাজের বিশুদ্ধ তরিকা। সম্মানিত পাঠক আসুন
কিভাবে সহীহ তরিকায় নামাজ আদায় করতে হয় তা আমরা জেনে নেই।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সুন্নতি তরিকায় সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করার
তাওফিক দান করুন আমীন।
নামাজের ফযিলত
ইসলামের নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। নামায ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, যা সুপ্রতিষ্ঠিত করা
ব্যতীত মুসলমান হওয়া যায় না। নামাযে অবহেলা, অলসতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। নবী কারিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা মুতাবিক নামায পরিত্যাগ করা কুফরি, ভ্রষ্টতা এবং
ইসলামের গণ্ডীবহির্ভূত হয়ে যাওয়া।
সহীহ হাদীসে এসেছে
بين الرجل وبين الكفر والشرك ترك الصلاة
অর্থ: মুমিন ও কুফুরি-শিরকের মধ্যে ব্যবধান হল নামায পরিত্যাগ করা”। (মুসলিম শরিফ)
এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন:
العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر
অর্থ: আমাদের ও তাদের মধ্যকার অঙ্গীকার হল নামায। অত:পর যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ
করবে সে কাফির হয়ে যাবে। হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন
নামায ইসলামের স্তম্ভ ও বড় নিদর্শন এবং বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী।
সহীহ হাদীসে এর প্রমাণ।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إن أحدكُم إذا صَلَّى يُناجي ربَّه
অর্থ:
নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন নামায আদায় করে তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে
(মুনাজাত করে) নির্জনে কথা বলে।
নামায বান্দা ও তার প্রতিপালকের মহব্বত এবং তাঁর দেওয়া অনুকম্পার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক। নামায আল্লাহর নিকট অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার প্রমাণসমূহের একটি এই যে, নামায হল প্রথম
ইবাদত যা ফরয হিসেবে পালনের জন্য নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে এবং মেরাজের রাতে, আকাশে, মুসলিম জাতির উপর তা ফরয করা হয়েছে।
তা ছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, কোন আমল উত্তম’ জিজ্ঞাসা করা হলে তার
উত্তরে তিনি বলেছেন:
الصلاة على وقتها“
অর্থ:
সময় মত নামায আদায় করা”। (বুখারী ও মুসলিম শরিফ)।
নামাযকে আল্লাহ পাপ ও গুনাহ থেকে পবিত্রতা অর্জনের অসিলা বানিয়েছেন। হাদীসে এসেছে
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
أرأيتُم لو أن نهراً بباب أحدكم يغتسل فيه كل يوم خمس مرات، هل يبقى من درنه شيء؟ قالوا: لا، قال: كذلك مثل الصلوات الخمس يَمْحُوا اللهُ بهنّ الخطايا
অর্থ:
যদি তোমাদের কারো (বাড়ীর) দরজার সামনে প্রবাহমান নদী থাকে এবং তাতে প্রত্যেক দিন পাঁচ
বার গোসল করে, তাহলে কি তার (শরীরে) ময়লা বাকী থাকবে? (সাহাবীগণ) বললেন, না।
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অনুরূপভাবে আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের
দ্বারা (বান্দার) গুনাহকে আল্লাহ মিটিয়ে দেন’। (বুখারী ও মুসলিম শরিফ)
এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে আরো হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
أنه كان آخر وصيته لأمته، وآخر عهده إليهم عند خروجه من الدنيا أن
اتّقوا الله في الصلاة وفيما ملكت أيمانُكم. (أخرجه أحمد والنسائي وابن ماجه)
অর্থ:
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুকালে তাঁর উম্মাতের জন্য সর্বশেষ অসিয়ত (উপদেশ) এবং অঙ্গীকার গ্রহণ ছিল, তারা যেন নামায ও তাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে
আল্লাহকে ভয় করে।
(হাদীসটি ইমাম আহমাদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে নামাযের ব্যাপারে খুবই গুরুত্বারোপ করেছেন এবং নামায
ও নামাযীকে সম্মানিত করেছেন। কুরআনের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ইবাদতের সাথে বিশেষ
ভাবে নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। নামাযকে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে কয়েকটি আয়াত শরূপ:
حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَاتِ والصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُواْ لِلّهِ قَانِتِينَ
অর্থ
তোমরা সমস্ত নামাযের প্রতি যতবান হও, বিশেষ করে (মাধ্যম) আসরের নামায। আর আল্লাহর
সমীপে কাকুতি-মিনতির সাথে দাঁড়াও। (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮)
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ
অর্থ:
আর তুমি নামায সুপ্রতিষ্ঠিত কর। নিশ্চয় নামায অশালীন এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরতো করে।
(সূরা আল-আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
অর্থ:
হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের
সাথে আছেন।
(সূরা আল বাকারা , আয়াত: ১৫৩)
إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
অর্থ:
নিশ্চয় নামায মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। (সূরা আন নিসা, আয়াত: ১০৩)
নামায পরিত্যাগকারীর জন্য আল্লাহর আযাব অপরিহার্য। ইরশাদ হয়েছে:
فَخَلَفَ مِن بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
অর্থ:
অতঃপর তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কুফুরির
অনুসরণ করল। সুতরাং তারা শীগ্রই জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।
(সূরা মারিয়াম, আয়াত: ৫৯)
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের মাধ্যমে, তাঁর ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে নামায সুপ্রতিষ্ঠিত করা ও সময়মত তা আদায় করা প্রতিটি
মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।
মহিলাদের নামাজের নিয়ম
মহিলাদের নামাজের নিয়ম প্রায় পুরুষের নামাজের মতই। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যাবধান আছে
তা হলো, দাড়ানো অবস্থায় দুই পা মিলিয়ে রাখবে । তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় মহিলারা কাধ
পর্যন্ত হাত উঠাবে। তারপর বুকের উপর হাত বাধবে আর বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাতের
তালু রাখবে । রুকুতে পুরুষের মত উভয় হাতে হাটুতে ভাল করে ধরবে না বরং দুই হাতের আংগুল মিলিত রেখে হাটুকে স্পর্স করবে এবং দুই পায়ের টাখনু মিলিয়ে রাখবে ।
পুরুষের রুকুর মত মাথা পিঠ ও মাজা সমান হবে না । সেজদার মাঝে মহিলারা দুই পা বাম দিক
দিয়ে বের করে ডান নিতম্বের উপর বসবে, তারপর হাত জমীনে বিছিয়ে সেজদা করবে। পেট
রানের সাথে মিলিয়ে বাহু পাজরের সাথে মিলিয়ে, এবং হাতের কনুই জমীনের সাথে মিলিয়ে যথা
সম্ভব জমীনের সাথে চেপে ধরে সেজদা করবে । বসার সময় দুই পা বাম দিকে বের করে দিয়ে
ডান নিতম্বের উপর বসবে। মহিলাদের নামাযের বাকী নিয়ম পুরুষের নামাযের মতই।
ফজরের নামাজ কয় রাকাত? ফজেরর চার রাকাত নামাজ
১. দুই-রাক’আত সুন্নত।
২. দুই-রাক’আত ফরজ।
ফরজরের দুই-রাক’আত সুন্নত নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ سُنَّةُ رَسُوْلُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরি সুন্নাতু রাছুলিল্লাহি
তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
ফজরের দুই-রাক’আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করিলাম,
আল্লাহু আকবার।
ফরজরের দুই-রাক’আত ফরজ নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরে ফারযুল্লাহি
তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বিঃদ্রঃ-ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ’লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
ফজরের দুই-রাক’আত ফরয নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
ফজর নামাজের তাসবিহ
উচ্চারণঃ হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।
অর্থঃ তিনি চির জীবত ও চিরস্থায়ী।
বিঃদ্রঃ- ফজর নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
ফজরে নামাজের সময়-সূচী:-
ফজরঃ-পাখি ডাকা ভোরে কিছুটা আঁধার থাকতেই অর্থাৎ সকালের আভা ছড়িয়ে পড়ার আগেই
এই নামাজ আদায় করে নেয়া ভাল। তবে এই ক্ষেত্রে বিশেষে প্রয়োজনে সূর্যের উদীয়মান প্রথম
অংশ পূর্ব দিগন্ত রেখা অতিক্রম করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে। সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়া নিষেধ।
যোহরের নামাজ কয় রাকাত যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাতঃ
১.চার-রাকাত সুন্নত।
২.চার-রাকাত ফরজ।
৩.দুই-রাকাত সুন্নত।
৪.দুই-রাকাত নফল।
যোহর চার-রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল জোহরে সুন্নাতু
রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আকবর।
বাংলা অর্থ
যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
যোহর চার-রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিজ যোহরে ফারদুল্লাহি
তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আকবর।
ঠিকাঃ
ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ’লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
যোহর দুই-রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিজ যোহরে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি
তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আকবর।
বাংলা অর্থঃ
যোহরের দুই-রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
যোহর দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা
জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
যোহরে দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার। যোহর নামাজের তাসবিহ
উচ্চারণঃ হুয়াল আলহিয়্যাল আজীম।
অর্থঃ তিনি শ্রষ্ট্রেতর অতি মহান।
বিঃদ্রঃ-যোহর নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
যোহর নামাজের সময়-সূচী
যোহরঃ
মধ্যাহ্নে সূর্য তার সর্বোচ্চ স্থান থেকে কিছুটা হেলে পড়ার পর পরই নামাজ আদায় করে নেয়া ভাল।
তবে সূর্যকিরণ যখন বেশ উত্তপ্ত থাকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে একটু দেরিতে অর্থাৎ সূর্যের তেজ
কিছুটা কমে এলে নামাজ আদায় করে নেয়ার অবকাশ রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে আছরের সময়
হওয়া পর্যন্ত নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে। যদি কোন কারণে ফরজের পূর্বে চার রাকাত
সুন্নত আদায় করতে না পারেন,তাহলে ফরজের পরে আদায় করে নিবে।
আসরের নামাজ কয় রাকাত আসরের নামাজ ৮ রাকাত
১.চার-রাকাত সুন্নত।
২.চার-রাকাত ফরজ।
আসরের চার-রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعَصْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল আসরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আকবর।
বাংলা অর্থ
আছরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
আসরের চার-রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعَصْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল আসরি ফারদুল্লাহি
তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আকবর।
ঠিকাঃ
ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ’লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
আছরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
আছর নামাজের তাসবিহ সমূহ,
উচ্চারণঃ হুয়ার রাহমা-নুর রাহীম।
অর্থঃ তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
ঠিকাঃ
আসর নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
আছরের নামাজের সময়-সূচী
আছরঃ-যোহর নামাজের পর অর্থাৎ মধ্যাহ্ন পেরিয়ে সূর্য যখন পশ্চিম দিগন্ত রেখা থেকে বেশ
কিছুটা উপরে অবস্থান করে এবং সূর্যের উজ্জ্বলতা তেজ বিরাজমান থাকে,সেই সময় থেকে
সূর্যের সোনালী তামাটে বর্ণ মিটে গিয়ে রক্তিম বর্ণ ধারণ করার পূর্বেই নামাজ আদায় করে নেয়া ভাল।
সে সময় সূর্য দিগন্ত রেখা থেকে এতটা উপরে থাকা উচিত যে,জানালা গলে ঘরের মাঝে ছড়িয়ে
পড়া সূর্যকিরণ মিটে গিয়ে যেন ছায়া ঘনিয়ে না আসে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োজনে সূর্যের
অস্তগামী প্রথম অংশ দিগন্তরেখা অতিক্রম করার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত নামাজ আদায় করে নেয়া
যেতে পারে। সূর্যাস্তের সময় নামাজ পড়া নিষেধ।
মাগরিবের নামাজ ৭ রাকাত
১.তিন-রাকাত ফরজ ।
২.দুই-রাকাত সুন্নত ।
৩.দুই-রাকাত নফল।
মাগরিবের তিন-রাকাত ফজর নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল মাগরিবে ফারদুল্লাহি
তায়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
ঠিকাঃ
ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ’লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের দুই-রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ سُنَّةُ رَسُوْ ا الِلَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতি ছালাতিল মাগরিবে সুন্নাতু রাসুলল্লাহি
তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা
জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
মাগরিবের দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
মাগরিব নামাজের তাসবিহ
উচ্চারণঃ হুয়াল গাফুরুর রাহীম।
অর্থঃ তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
ঠিকা-
মাগরিব নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
মাগরিব নামাজের সময়-সূচী
মাগরিবঃ
সূর্য সম্পূর্ণরূপে অস্ত যাবার পর কিছু সময়ের মধ্যেই নামাজ আদায় করে নেয়া ভাল। তবে সূ
র্যাস্তের পর হতে যতক্ষণ পর্যন্ত নিক্ষিপ্ত কোন তীরের পতিত হবার স্থান দৃষ্টিগোচর হয় অর্থাৎ
গোঁধুলির রেশ বিরাজমান থাকা (পশ্চিম দিগন্তের লাল আভা অদৃশ্য হয়ে রাতের অন্ধকার
ঘনিয়ে না আসা)পর্যন্ত নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।
এশার নামাজ ১৭ রাকাত
১.চার-রাকাত সুন্নত।
২.চার-রাকাত ফরজ।
৩.দুই-রাকাত সুন্নত।
৪.দুই-রাকাত নফল।
৫.তিন-রাকাত বেতর।
৬.দুই-রাকাত নফল।
এশার চার-রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَاءِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি
তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
বাংলা অর্থ
এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার চার-রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَءِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই ফারদুল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর
ঠিকা-
ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ’লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْعِشَاءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতি ছালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসুলল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার তিন-রাকাত বেতর নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা
জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার নামাজের তাসবিহ
উচ্চারণঃ হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর।
অর্থঃ তিনি পাক ও অতিশয় সর্তকশীল।
বিঃদ্রঃ-এশার নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
এশার নামাজের সময়-সূচী
এশারঃ
গোধুলী পেরিয়ে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার পর হতে এই নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং রাতের
এক তৃতীয়াংশ সময় থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যে কোন সময়ে নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।
ঠিকাঃ
ফজর,জহুর,আছর, মাগরিব,ও এশার, নামাজ দেরি না করে ওয়াক্ত মত আদায় করে নেয়া উত্তম।
জুমার নামাজের নিয়ত জুম’আর নামাজ
জুম’আর নামাজের দুই রাকা’ত ফরজ,
যা ইমামের সাথে আদায় করতে হয়।
অধিকাংশ আলেমদের মতে, জুম’আর ফরজের পূর্বে চার রাকা’ত কাবলাল জুম’আ এবং
ফরজের পরে চার রাকা’ত বা’দাল জুম’আর সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়। এছাড়া মসজিদে
প্রবেশ করে দুই রাকা’ত দুখলুল মসজিদ ও দুই রাকা’ত তাহিয়াতুল ওযুর মোস্তাহাব নামাজও উ
ৎসাহিত করা হয়।
জুম’আর নামাজের বিবরণী
১.মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত তাহিয়াতুল ওযু ও দুই রাকা’ত দুখলুল মসজিদের মোস্তাহাব
নামাজ আদায় করবেন। মোস্তাহাব নামাজ
২.চার রাকা’ত কাবলাল জুম’আর সুন্নত নামাজ একাকী আদায় করবেন।
৩.ইমামের খুৎবা পাঠ মনোযোগ দিয়ে শুনবেন।
৪.ইমামের সাথে দুই রাকা’ত জুম’আর ফরজ নামাজ আদায় করবেন।
৫.ফরজ নামাজের পর তাৎক্ষণিক ভাবে মসজিদ ত্যাগ করবে না,বরং চার রাকাত বা’দাল
জুম’আর সুন্নত নামাজ একাকী আদায় করবেন।
জুম’আর নামাজ মোট ২০ রাকাত
১.দুই-রাকাত তাহিয়্যাতুল অজু।
২.দুই-রাকাত দুখুলুল মাসজিদ।
৩.চার-রাকাত কাবলাল জুমআহ।
৪.দুই-রাকাত ফরজ জুম’আ।
৫.চার -রাকাত বা’দাল জুম’আ।
৬.চার-রাকাত আখেরে জোহর।
৭.দুই-রাকাত ওয়াত্তে সুন্নত।
দুই-রাকাত তাহিয়্যাতুল অজু
নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ التَّحِيَّةُ الْوُضُوْءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রাকাআতাই ছালাতিল তাহিয়্যাতুল অজু সুন্নাতু
রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
দুই-রাকাত তাহিয়্যাতুল অজু নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
দুই-রাকাত দুখুলুল মাসজিদ নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الدُّخُوْلِ الْمَسْجِدِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রাকাআতাই ছালাতিল দূখূলিল মাসজিদি সুন্নাতু
রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
দুই-রাকাত দুখুলুল মাসজিদ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
চার-রাকাত কাবলাল জুমআহ নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ قَبْلَ الْجُمُعَةِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা অর্থ
চার-রাকাত কাবলাল জুমআহ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
দুই-রাকাত ফরজ জুম’আ নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُسْقِطََ عَنْ ذِمَّتِىْ فَرْضُ الظُّهْرِ بِاَدَاءِ رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْجُمُعَةِِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসকিত্বা আ’ন জিম্মাতী ফারদা-জোহরি বি’আদা-য়ি রাকাআতাই ছালা-তিল জু
মু’আতি ফারদুল্লা-হি তা’য়ালা ইত্তাদাইতু বিহাযাল ইমাম মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল
কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
দুই-রাকাত ফরজ জুমআহ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
চার -রাকাত বা’দাল জুম’আ নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা আরবা-আ রাকাআতাই ছালাতিল বা’দাল জুমুআতি
সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
চার -রাকাত বা’দাল জুমআহ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
চার-রাকাত আখেরে জোহর নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ اَخِرِالظُّهْرِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা আরবা-আ রাকাআতাই ছালাতিল আখিরিজ জোহরি
সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
দুই-রাকাত ওয়াত্তে সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
কি ভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন, দুই রাকাত নামাজের নিয়ম সমূহ
১.প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বে।
২.মনে মনে নিয়ত করুন,কোন ওয়াক্তের নামাজ এখন পড়বেন? সূন্নত,ফরজ,ওয়াজিব না নফল
নিয়তে তা উল্লেখ করুন।এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা বুকের
উপর ও পুরুষেরা নাভীর উপরে হাত বাঁধবে (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত রাকবেন)।
৩.তারপর সানা পড়বেন।
৪.এবার মনে মনে -আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পাঠ করুন।
৫.সূরা ফাতিহা পড়রুন এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
৬.ধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবেন এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাঁধবেন।
৭.সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য কোন সূরা মিলাবেন।
৮.সম্পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা করবেন এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে তাশাহুদ,
দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।
তিন রাকাত নামাজ পরার নিয়ম ও নিয়ত
১.প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বে।
২.মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখন পড়বেন? সূন্নত, ফরজ, ওয়াজিব না
নফল নিয়তে তা উল্লেখ করুন। এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা
বুকের উপর ও পুরুষেরা নাভীর উপরে হাত বাঁধবেন (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত রাকবেন)।
৩.তারপর সানা পড়বেন।
৪.এবার মনে মনে -আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পাঠ করুন।
৫.সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
৬.ধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবে এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাঁধবেন।
৭.সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য কোন সূরা মিলাবেন।
৮.পূর্বের ন্যায় রুকু সেজদা করে উঠে না দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে বসবেন (প্রথম বৈঠক),এবং
তাশাহুদ পাঠ করবেন।
৯.আল্লাহু-আকবার বলে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধবেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। ফরজ
নামাজ না হলে সূরা ফাতিহার পর আরেকটি সূরা মিলাবেন।
১০.বিতরের নামাজ হলে তৃতীয় রাকাতের রুকু সেজদার আগে যেমন, সুরা ফাতিহার পর অন্য একটি সুরা মিলাবেন তারপর পুনরায় একটি তাকবির দিয়ে হাত বাঁধবেন এবং দোয়া কুনুত পাঠ করবে।
১১.সম্পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা করবেন এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে তাশাহুদ,দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।
চার রাকাত নামাজের নিয়ম
১.প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেন।
২.মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখন পড়বেন? সূন্নত, ফরজ, ওয়াজিব না
নফল নিয়তে তা উল্লেখ করুন। এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা
বুকের উপর ও পুরুষেরা নাভীর উপরে হাত বাঁধবেন (বাম হাঁতের উপরে ডান হাত রাকবেন)।
৩.তারপর সানা পড়বেন।
৪.এবার মনে মনে -আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পাঠ করুন।
৫.সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
৬.ধীর-স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাঁড়াবেন এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাঁধবেন।
৭.সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য কোন সূরা মিলাবেন।
৮.পূর্বের ন্যায় রুকু সেজদা করে উঠে না দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে বসবেন (প্রথম বৈঠক),এবং তাশাহুদ
পাঠ করবেন।
৯.আল্লাহু-আকবার বলে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধবেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। ফরজ নামাজ
না হলে সূরা ফাতিহার পর আরেকটি সূরা মিলাবেন।
১০.রুকু সেজদা করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধবেন। তৃতীয় রাকাতের নিয়মানুযায়ী সূরা পাঠ করবেন।
১১.সম্পূর্ণভাবে রুকু-সেজদা করবে এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে তাশাহুদ,দরুদ
ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।
এশার তিন-রাকাত বেতর নামাজের নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি
তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।
আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।
আল্লাহু আকবার।
দোয়া কুনুত-বিতরের নামাজে পড়তে হয়
আরবি-উচ্চারন
اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
বাংলা-উচ্চারন
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়ানাসতাগফিরুকা ওয়ানু‘মিনুবিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আ‘লাইকা ওয়ানুছনি আ‘লাইকাল খইর, ওয়ানাশকুরুকা ওয়ালানাকফুরুকা ওনাখলা‘উ ওয়ানাতরুকু
মাঈয়াফ যুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যা কানা‘বুদু ওয়ালাকানুসল্লি ওয়ানাসযুদু ওয়ালাইকানাস‘
আ ওয়ানাহফিদু ওনারযু রাহমাতাকা ওয়ানাখশা আ‘যাবাকা ইন্না আ‘যাবাকা বিলকুফ্ফারি মুলহিক।
বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ!আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি,তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি,তোমার ভরসা করিতেছি । তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি,তোমার উপর
ঈমান আনিতেছি,তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা
জ্ঞাপন করিতেছি । আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না । যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে
তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি । হে আল্লাহ!আমরা তোমারই ইবাদত করি,তোমারই খেদমতে হাজির হই এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি । নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ ভোগ করিবে ।
ঠিকা-
বিতর নামাজের শেষ রাকাতের তাকবীরের পরে (বিসমিল্লাহ্ ব্যতীত)দোয়া কুনূত পড়তে হয়।
এক্ষেত্রে অন্য কোন সূরা পড়া যাবে না।তবে যাদের দোয়া কুনূত মুখস্ত নেই তারা মুখস্ত করার
আগ পর্যান্ত পড়তে হবে।
বেতেরের নামাজের বিবরন
বেতের নামাজের সময় বিভিন্ন ইমামা সাহেব-গনের মতে বেতরের নামাজ এশার নামাজের পর
থেকে সুবহি সাদিকের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু আমাদের ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)
এর মতে এশারের বেতের নামাজের একই সময়।
বেতেরের নামাজ নির্দিস্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয় । কিন্তু যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ
নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন, কেবল ঐ সব লোকেরাই শেষ
রাতে তাহাজ্জুদের পর বেতেরের নামাজ আদায় করতে পারেন। কেননা রাসুলে করীম (সাঃ)
এই নিয়মেই আদায় করতেন। আর যাদের শেষ রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই,
তারা অবশ্যই এশার নামাজের সাথে আদায় করবেন।
বেতেরের নামাজ পড়ার নিয়ম
বেতেরের তিন রাকাত নামাজের নিয়্যত করে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে যথারীতি দু-রাকা’
আতের পর বসে তাশাহুদ পাঠ করে দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাক’আতে সূরা-কিরায়াত পাঠ করে
পুনরায় তাহরীমা বেঁধে দোয়ায়ে কুনূত পাঠ করে যথারীতি রুকূ-সিজদাহ ও শেষে বৈঠকের
পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ সমাপ্ত করবেন।
কাযা নামাজ পরার নিয়ম ও নিয়ত
কাযা নামাজ এবং ওয়াক্তিয়া নামাজের নিয়ত একই রকম তবে এইটুক পার্থক্য যে কাযা নামাজে
(আন উসালি্লয়া) শব্দের জায়গায় (আন আকদিয়া) এবং যে নামাজ তাহার নাম বলিয়া (আল
ফাইতাতে বলিতে হইবে। যথা- ফরজ অথবা আছরের নামা্জ কাযা হইলে নিম্নরূপ নিয়ত পড়তে হবে
ফজর নামাজের কাযার-দুই-রাক’আত ফরজ এর নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اَقْضِ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِالْفَائِتَةِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা রাকাআতি ছালাতিল ফাজরি ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি
তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফজরের ফরজ দুই রাকাত কাযা নামাজ আদায়
করিতেছি। আল্লাহু আকবার।
আছরের নামাজের কাযার- চার-রাক’আত ফরজ এর নিয়ত
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اَقْضِىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَاتِ صَلَوةِ الْعَصْرِ الْفَا ئِتَةِ فَرْضُاللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِالشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল আছরিল ফায়েতাতি
ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে আছরের ফরজ চার রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
কাযা নামাজ এর নিয়ম
যে কোন জরুরী কারণে সময়মত নামাজ পড়তে না পারিলে ঐ নামাজ অন্য নামাযের পূর্বে
আদায় করাকে কাযা নামাজ বলে।
কাযা নামাজ দুই প্রকার যথা-
১। ‘ফাওয়ায়েতে কালীল’ অর্থাৎ অল্প কাযা পাঁচ ওয়াক্ত পরিমাণ নামাজ কাযা হইলে উহাকেই ‘ফাওয়ায়েতে কালীল’ বা অল্প কাজা বলে।
২। ‘ফাওয়ায়েতে কাছির’ অর্থাৎ বেশি কাযা। পাঁচ ওয়াক্তের অধিক যত দিনের নামাজই কাযা
হউক না কেন উহাকে ‘ফাওয়ায়েতে কাছির’ বা অধিক কাযা বলা হয়। এ ধরনের কাযা
নামাজ সকল ওয়াক্তিয়া নামাযজর পূর্বে পড়িবেন । কিন্তু,
(ক) কাযার কথা ভুলিয়া গেলে অথবা
(খ) ওয়াক্তিয়া নামাযজর ওয়াকত সস্কীর্ণ হইয়া গেলে বা
(গ) কাযা পাঁচ ওয়াক্তের বেশী হইলে কাযা নামাজ পরে পড়া যাইতে পারে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা তার কম নামাজ না পড়িয়া থাকিলে তাহার তরতীবের প্রতি লক্ষ্য
রাখিতে হইবে। আগের নামাজ আগে, পরের নামাজ পরে পড়িতে হইবে।
যথাঃ কোন ব্যক্তির ফরজ এবং যোহরের নামাজ তরক হইয়া গিযাছে, এখন আছরের নামাজ
পড়িবার পূর্বে সর্ব প্রথম ফজরের কাযা তারপর যোহরের কাযা আদায় করিতে হইবে। তারপর
আছরের ওয়াক্তিযা নামাজ আদায় করিবেন।
১) ফরয নামাজের কাযা ফরয।
২) ওয়াজিব নামাজের কাযা ওয়াজিব।
৩) সুন্নত নামাযের কাযা পড়িতে হয় না। কিন্তু ফজরের সুন্নতের কাযা আদায় করিতে হইব।
৪) কাযা নামাজ জামায়াতের সহিত আদায় করিলে ইমাম কেরাত জোরে পড়িবেন। তবে যোহর
এবং আছরে চুপে চুপে পড়িবেন।
৫) এক মাস বা তার চেয়ে বেশী দিনের নামাজ কাযা হইয়া থাকিলে উক্ত পরিমাণ সময়ের কাযা
আদায় করিবে এবং তরতীবের প্রতি লক্ষ্য রাখিবে।
৬) জীবনে যে নামাজ পড়ে নাই বা কত নামাজ তরক করিয়াছে তাহার হিসাবও নাই। সে যদি
এখন কাযা করিতে চায়, তবে প্রথমে নামাজের পূর্বে তরতীব অনুযায়ী কাযা আদায় করিতে থাকিব, ইহাকে ‘ওমরী কাযা’ বলে। ইহাতে অশেষ ছওয়াব আছে। কাযা নামাজের নিয়ত করিবার সময়
নামাজের উল্লেখ করিয়া নিয়ত করিতে হইবে।
0 মন্তব্যসমূহ